ছোট ভাইয়ের জুতা কিনতে অ্যাপেক্সে গেছিলাম। জুতা কিনতে তো আর আলু-পটলের দোকানে যাওয়া যায় না, তাই আপেক্সই সই। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু হয় নাইরে ভাই। পাপে হইছে আন্ডারওয়্যার। পুরুষের হলেও এক কথা ছিল।হয়েছে মহিলাদের।ইহা কে না জানে যে, আন্ডারওয়্যার ট্রায়াল দেয়া যায় না! তবে আন্ডারওয়্যারও ট্রায়ালের ব্যবস্থা থাকা উচিত- পুরুষ জাতির বৃহত্তর কল্যাণে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কপ্রসূত ধারণা। পলিথিনের বিভিন্ন সাইজের আন্ডারওয়্যার থাকবে, তার উপর আসলটা ট্রায়াল দেয়া। খুবই সিম্পল। এই Simplicity-র অভাবে কী Complexity-তে পড়েছিলাম, সেটা বলি-
সিল-ছাপ্পর মারা সেলস এক্সিকিউটিভ এসে শুধালো, ‘স্যার ভাল আন্ডারওয়্যার আছে, দেব?’
বললাম, ‘দিন একটা।’
নির্ভেজাল আনন্দে জুতার সাথে একটা আন্ডারওয়্যারের বক্স কাউন্টারে পৌছে গেল। বিল মিটিয়ে বাসায় এসে প্রথমেই ব্যক্তিগত ট্রায়াল।
ও বাবা, একি! আমি যা চয়েস করেছিলাম তা তো নয়। ইহাকে ‘আন্টি’ বলাই যায়। সুধীজনের বোঝার সুবিধার্থে ‘আন্টি’র ‘আ’কে বাদ দিয়ে
বর্ণমালার প-বর্গের প্রথমটাকে বাঁকা উচ্চারণে বসিয়ে দিন। সত্যি বলছি দাদা, হয়ে যাবে।
আজ গিয়েছিলাম আবার নিজের জুতা কিনতে। কেনার ফাঁকে ঘটনাকে পরিষ্কার করে বললাম। বিশ্বাসই করল না। ঘটনাচক্রে ওই আন্ডারওয়্যারটাই পড়ে গিয়েছিলাম।
বললাম, পড়াই আছে। খুলে দেখাব?
‘না, না স্যার! লাগবে না। বিশ্বাস করছি।’
এবার কেন গুষ্টিসহ বিশ্বাস করল, বুঝলাম না। আসলে অনেক কিছুই বুঝি না। দুনিয়ার হাল-চাল বোঝা বড় দায়!!!
সনাতন দা আপনার লেখা যতোই পড়ি, হাসির তীব্রতা ততোই বেড়ে হয়।মন খারাপ থাকলে আপনার লেখাগুলো পড়লে মন ভালো হয়ে যায়।আপনার কাছে আকুল আবেদন এই লেখাগুলো বই আকারে বই আকারে বের করবেন।