সকল পর্বতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও মাননীয় বিন্ধ্যপর্বতের গুরু হচ্ছে মন্ত্রদ্রষ্টা মুনি অগস্ত্য। দ্বন্দ্ব বাধাতে দক্ষ দেবর্ষি নারদের কাছে সুমেরুর প্রশংসা শুনে বিন্ধ্য ক্ষিপ্ত হয়ে তার চূড়াগুলি উঁচু করতে আরম্ভ করে। ফলে সূর্যের গতি রোধ হতে থাকে বিন্ধ্যের পশ্চিম ও দক্ষিণে অন্ধকার এবং পূর্ব ও উত্তরে প্রখর সূর্যতাপ দেখা দেয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তিলাভের জন্য বিষ্ণু পরামর্শে দেবতারা অগস্ত্যের কাছে যান। দেবতারা কৃপাভিক্ষা করায় তিনি স্ত্রীসহ শিষ্য বিন্ধ্যের সম্মূখে উপস্থিত হলেন। গুরুদেবকে দেখে বিন্ধ্য নত হয়ে প্রণাম করলেন। তিনি শিষ্যকে বললেন যে, তিনি দাক্ষিণাত্যে যাচ্ছেন। যতদিন তিনি ফিরে না আসেন ততদিন যেন বিন্ধ্য এরূপ নত হয়েই থাকে। অগস্ত্যমুনিও আর ফিরে আসেননি, গুরু-আজ্ঞা শিরোধার্য করে বিন্ধ্যপর্বতও আর মাথা উঁচু করেনি।